ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT

আসসালামু আলাইকুম,  পাঠক। আশা করছি সবাই ভালো আছেন।  টাইটেল পড়ে বুঝতে পারছেন আজকে আমরা কি নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। হাঁ ঠিকি ধরেছেন আজকে আমরা কথা বলব ছাত্রজীবনে কিভাবে আপনি আয় করতে পারেন। ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের হাত খরচ চালানোর জন্য পাশাপাশি যদি কোন কিছু করা যায় তাহলে সেরা খুব এফেক্টিভ হয়।

আপনি যদি স্কেল বেশ কিছু শিখে পার্টটাইম কোন কাজ করেন তখন সেটা আপনার ইন ফিউচার কাজে দিবে। ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি কোন একটি কাজ শেখা উচিত।  আজকে আমরা এমন দশটি উপায় কথা বলব যেগুলো করে আপনি ছাত্রজীবনে ভালো একটি ইনকামের জেনারেট করতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে ছাত্রজীবনে কিন্তু পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে আপনি পড়াশোনা কম করে যদি চান তাহলে আপনার পড়াশোনা হবে না। পড়াশোনা ঠিক রেখে এর পাশাপাশি কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

১. টিউশনি 

ছাত্র জীবনের সবচেয়ে সহজ এবং বড় রাস্তাটি হচ্ছে কি টিউশনি করা।  আপনি যদি পড়াশোনায় ভালো হন বা বোঝার ক্ষমতা থাকে তবে আপনি নিঃসন্দেহে টিউশনি করাতে পারেন। আপনি যদি  দশম শ্রেণীতে পড়েন আপনি কিন্তু সর্বনিম্ন পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার ক্ষমতা রাখেন। ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি যদি টিউশনি করেন তাহলে সেটা আপনার কাজে দিবে।  এখন প্রশ্ন করতে পারেন সেটা কীভাবে কাজে দিবে?  আমরা যেগুলো পড়েছি সেগুলো মনে রাখতে পারিনা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো  মনে রাখা সম্ভব হয়। যখন আপনি আপনার ক্লাস থেকে নিচে  নিচের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের পড়াবেন তখন আপনার পড়াগুলো আবার রিভিশন হয়ে যাবে এতে করে আপনিও লাভবান হলেন পাশাপাশি জেনারেট হলো। তবে এমন করবেন না যে আপনি পড়াশোনা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র টিউশনি করছেন।  মোটামুটি দুই থেকে তিনটা টিউশনি করতে পারলে আমি মনে করি।  এছাড়াও টিউশনি  আলাদাভাবে না করিয়ে আপনি কোন কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিতে পারেন।  এতেও  মাসে ভালো একটি ইনকাম করা সম্ভব হয়।

২. ফ্রিল্যান্সিং

 ছাত্র জীবনে আয় করার  আরেকটি মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করা।  ফ্রীলান্সিং করে বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী নিজের পকেট খরচ চালানোর পাশাপাশি কিন্তু নিজের সংসারও চালাতে পারছেন।  আপনি নির্দিষ্ট একটি বিষয় স্কিন তৈরি করে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে করা শুরু করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন  বিগিনার হিসেবে আপনি টুকটাক কাজ শিখে  ফ্রিল্যান্সিং  এ নেমে পড়বেন না।  এতে করে হিতের বিপরীতই হতে পারে।  কারণ,   বিগেনার হিসেবে আপনি কাজ তো পাবেন না  এবং সাথে মার্কেটপ্লেস থাকো নষ্ট করে ফেলবেন এদেশেরই   নামও খারাপ হবে  আন্তর্জাতিক সেলারদের কাছে। তাই আগে ভালো করে কাজ শিখুন , দক্ষতা অর্জন করুন  তারপর মার্কেটপ্লেসে কাজে নামুন।  এতে করে আপনি সহজেই কাজ পাবেন এবং হতাশায় ভুগছেন না।  এবং দৈনিক নির্দিষ্ট কিছু সময়  কাজ করে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। তবে এমন কোন কাজ করবে না যেগুলোর ইন ফিউচার কারীর অতটা ভালো হবে না।  আপনি বিভিন্ন বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। তবে বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েবসাইট  ডিজাইন,  ডিজিটাল মার্কেটিং এগুলোর চাহিদা বেশি।



৩. কনটেন্ট রাইটিং :

  আপনার যদি সৃজনশীল ক্ষমতা বেশি থাকে এবং লিখতে ভালোবাসেন তাহলে আপনার জন্য কনটেন্ট রাইটিং টি ভাল রাস্তা হতে পারে ইনকাম জেনারেট করার জন্য। কনটেন্ট রাইটিং অনেক বিশাল একটি সেক্টর।  বিশেষ করে বাংলা কন্টেন্ট তুলনায় ইংরেজি কন্টেনের চাহিদা  অনেক গুণ বেশি।  তাই আপনি যদি ইংরেজিতে দক্ষ হন তাহলে এই কন্টাক্টার আপনার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ হতে পারেন। এখান থেকে ভালো একটি  ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।  যেমন আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে লেখার চেষ্টা করেন। তাহলে সেটা মাস শেষে গিয়ে দাঁড়াবে ত্রিশটা। আপনি কন্টেন কন্টেন হয় এসিও ফ্রেন্ডলি তাহলে সে গুলোকে যদি মিনিমাম আপনি 20 ডলার করেও বিক্রি করেন মাসিক কিন্তু আপনি 600 ডলার ইনকাম করতে পারবেন।   কনটেন্ট রাইটিংয়ের আপনি চাইলে করতে পারেন এর জন্য আপনাকে অবশ্যই এসইও সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আপনি যদি নিজে ভাল হন এবং পোস্ট করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য কনটেন্ট রাইটিং বেস্ট অপশন হবে পার্টটাইম হিসেবে। কারণ আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা  সময় কিন্তু   এ কনটেন্ট  লেখা সম্ভব ।

৪. রাইড শেয়ারিং

আপনি যদি এমন পর্যায়ে চলে যান যে আপনার ইনকাম করা ছাড়া চলছেই না  তখন আপনার জন্য বেস্ট অপশন হতে পারে রাইড শেয়ারিং।  আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এর ইনকাম কম হলেও বাইরের দেশে কিন্তু মোটামুটি ভালো একটি ইনকাম জেনারেট করা যায়।  আপনি যদি প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ ঘন্টা অর রাইট শেয়ারিং এর সময় দেন, দিন শেষ মোটামুটি একটি ভালো ইনকাম করতে পারবেন  যা দিয়ে আপনি অনায়াসেই চলতে পারবেন । তবে আমি আগেই বলেছি আপনি যদি ইনকাম করা কোন অফিসের না পান তখনই আপনি রাইড শেয়ারিং আসতে পারেন।  অন্যথায় কোন  স্কিল তৈরি করা টাকে আমি প্রাধান্য দিব। তবে আপনি যদি ঘুরতে ভালোবাসেন ,  গাড়ি চালাতে ভালোবাসেন তখন সেটা অন্য কথা । তখন আপনার জন্য রাইড  শেয়ারিং বেস্ট অপশন হতে পারে।

৫.আফিলিয়েট মাকেটিং 

দিন দিন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিন্তু চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি কনটেন্ট রাইটার বা লিখতে ভালোবাসেন  তাহলে আপনার জন্য একটি  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি বেস্ট অপশন । অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কে রেফার মার্কেটিংয়ে বলা হয়।  অর্থাৎ অ্যাপলেট মার্কেটিং হচ্ছে আমার একটি মাধ্যম যেখানে আপনি অন্যের প্রোডাক্ট সেল করে দিবেন তার তার পরিবর্তে আপনি কিছু কমিশন পাবেন। 

 যেমন ধরুন আমার একটা  টি-শার্ট আছে।  এইচডি শার্টের মূল্য হচ্ছে গিয়ে 100 টাকা। এখন আপনি যদি আমার অ্যাফিলিয়েট পার্টনার হন এবং আপনি যদি আমার টি-শার্টে বিক্রি করে দিতে পারেন তার পরিবর্তে আমি আপনাকে 15% কমিশন দিব।  অর্থাৎ সেটা যদি আপনি 100 টাকায় বিক্রি করেন তাহলে আমি ভাববো 85 টাকা আর আপনি এফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে আপনি পাবেন 15 টাকা। এভাবেই চলতে থাকে।

৬. গ্রাফিক্স ডিজাইন

 এটি মূলত ফ্রিল্যান্সিং এর অন্তর্ভুক্ত।  গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা কিন্তু দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে  করণা মহামারীর কারণে মানুষ কিন্তু অনলাইনে দিকে ঝুঁকছে বেশি।ফলে এগুলো চাইতো কিন্তু বাড়ছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের সেক্টর কিন্তু অনেক বড়। এখানে লোগো ডিজাইন হতে শুরু করে ব্যানার ফেস্টুন ব্যানার,  বিজনেস কার্ড,  বইয়ের ডিজাইন,  প্রডাক্ট  ডিজাইন ইত্যাদি আরো  অনেক কিছুই অন্তর্ভুক্ত ।

৭. ওয়েব ডিজাইন

 ওয়েব ডিজাইনের চাহিদাও কিন্তু ব্যাপক। এবং ওয়েব ডিজাইনিং করেও মাস শেষে ভালো একটি ইনকাম জেনারেট করা যায়। ওয়েব ডিজাইন জানতে হলে আপনাকে এইচটিএমএল সিএসএস বুটস্ট্রাপ,  ওয়ার্ডপ্রেস  অর্থাৎ সিএমএস  ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে । আগেও বলছি এখনও বলছি আপনি বেসিক কাজ  শিখে কখনোই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজে নেমে যাবেন না। আগে ভালো করে কাজ শিখবেন তারপর মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে যাবেন। তখন ভালো একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।  অন্তত দুই থেকে তিন মাস ভালোকরে সময় দিয়ে কাজটি শিখবেন। তারপর কিছু সময় প্র্যাকটিস করবেন। তারপর ফাইনালে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে নামবেন।



৮. এড ক্যাম্পেইন

এটিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় একটি অংশ হচ্ছে গিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার ভিতর এড ক্যাম্পেইন করা।  আপনি কিন্তু ভালো একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারেন। এটাতো বেশি সময় দেওয়ার প্রয়োজন হয় না জাস্ট বেসিক কিছু বিষয়গুলো জানতে হবে এবং বুঝতে হবে এবং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে এবং  প্রডাক্ট সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে তখনই আপনি এড ক্যাম্পেইন ভালোভাবে চালাতে পারবেন। আপনি যদি বেসিক কাজ  এবং প্র্যাকটিসের জন্য কিছু কাজ করেন তখন আপনার একটি এড ক্যাম্পেইন সঠিকভাবে চালাতে 20 থেকে 30 মিনিট ( বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগতে পারে তিন চার ঘন্টা সেগুলো হচ্ছে বড় ক্যাম্পেইনের ক্ষেত্রে বা কোন ফ্রী প্রডাক্ট রিসার্চ করা লাগে সে ক্ষেত্রে)বেশী লাগার কথা নয়।

৯. ফুড ডেলিভারি

এটি অনেকের রাইড শেয়ারিং এর মতই আপনার একান্ত এ কোন কাজ না পান এবং জরুরি নিজের পকেট খরচ চালানোর জন্য টাকার প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য বেস্ট অপশন হতে পারে এই ফুড ডেলিভারি। আপনার দৈনিক তিন থেকে ছয়ঘন্টার মত কাজ করলেও ভালো একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। 

১০. ভিডিও এডিটিং 

আপনার যদি ভিডিও নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে তাহলে আপনার জন্য  ভিডিও এডিটিং বেস্ট অপশন হতে পারে। কারণে সেক্টরের পরিধি ব্যাপক। একজন ভাল মানের ভিডিও এডিটরের কিন্তু আকাশছোঁয়া।  তাই আপনি যদি ভালোভাবে শিখতে পারেন তাহলে দৈনিক 6  ঘন্টা কাজ করে মাসে ভালো একটি ইনকাম করতে পারবেন।

১১. ইউটিউবিং 

আপনার যদি ভিডিওটি ইন্টারেস্ট থাকে বা সোশ্যাল মিডি ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার ইচ্ছা থাকে তবে আপনি  ইউটিউব এর কাজ শুরু করে দিতে পারেন।  প্রথম একটু কষ্ট সাপেক্ষ তবে যদি লেগে থাকতে পারেন তবে সফলতা ধরা দিবেই এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তবে ভাল ফলাফল পাবেন।

 

 আজ এ পর্যন্তই । আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।  এছাড়া আপনাদের কোন দিকে থাকলে অবশ্য আমাদের জিজ্ঞেস করতে পারেন।  ছাত্র জীবনে পড়াশোনা কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । তাই পড়াশোনা কে অবহেলা করে কখনই কাজের দিকে ঝুঁকবেন না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker!!

close