আসসালামু আলাইকুম, পাঠক। আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন। টাইটেল করেই বুঝতে পারছেন আজকে আমরা কি নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। হ্যাঁ, আজকে আমরা পরীক্ষার জন্য সেরা কিছু উপায় সম্পর্কে জানব।
আমরা জানি যে পরীক্ষায় একটি নির্দিষ্ট টাইম দেওয়া হয়। ওই সময়ের ভিতর পরীক্ষাটা লিখে শেষ করতে হয়। পরীক্ষায় যদি একটিভ সঠিক পরিকল্পনা থাকে তাহলে সম্পূর্ণ আশা করে আসা যায়না সবগুলো প্রশ্ন করা সত্বেও। তাই প্রশ্ন করলেই হবেনা পরীক্ষার লিখিত আসতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর। তার জন্য কিছু টিপস এন্ড ট্রিক্সস করলে সেটা সহজেই করা সম্ভব হবে। চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা টিপস অন্ড ট্রিক্স এর দিকে চলে যায়।
পরীক্ষায় দ্রুত লেখার উপায়
সব সময় পরীক্ষার হলে ন্যূনতম 15 মিনিটের আগে প্রবেশ করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনি কিছু সময় পাবেন রিলাক্স করার জন্য। পাশাপাশি এই সময়ে আপনি মার্জি , রুল ফিলাপ ইত্যাদি কাজগুলো করে ফেলতে পারবেন। এতে করে মূল পরীক্ষার সময় অত টা নষ্ট হবে না প্রশ্ন যেই আপনি আপনার কাজ শুরু করতে পারেন। চলুন পাঁচটি টিপস সম্পর্কে জানা যাক।
-
হাতের লেখা অনুশীলন :
আমাদের ম্যাক্সিমাম পরীক্ষা কিন্তু হাতে লিখে দিতে হয়। তাই আমরা যতই মুখস্ত করি না কেন বা ভালো বুঝিনা কেন সেটা কিন্তু কোন কাজে দেবে না যদি না আমরা তা ভালো করে লিখে ফুটিয়ে তুলতে না পারে ।তাই আপনাকে ভালোভাবে লিখতে জানতে হবে। এবং লেখা দ্রুত লেখার চেষ্টা করতে হবে। লিখে যদি আপনি দ্রুত করতে না পারেন তাহলে আপনার টাইম ম্যানেজমেন্ট এর সমস্যা হবে। লেখার যত দ্রুত হবে আপনি তত দ্রুত লেখা শেষ করতে পারবেন । তাই হাতের লেখা মোস্ট ইম্পর্টেন্ট। কিভাবে আপনি হাতের লেখায় আরো সুন্দর করবেন ? কিভাবে হাতের লেখা আরও আকর্ষণীয় করবেন সে সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।
-
সময় ভাগ করে রাখুন :
আমরা পরীক্ষায় সাধারণত যে ভুলটা করি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে কি আমরা সময়টা ভাগ করে রাখি না তারপর আমরা নির্দিষ্ট সময় লেখা শেষ করতে পারি না তাই আপনাকে প্রথমে ভাগ করে রাখতে হবে। সেটা যে আপনি পরিচয় হলে করতে হবে এমন কোন কথা নেই। সেইসময় ভাগ করার কাজটা আপনি বাসায় বসে করতে পারেন। আপনি তো জানি আপনার পরীক্ষা কত ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে । ধরে নিলাম আপনার পরীক্ষায় দশটি সৃজনশীল থেকে সাতটি সৃজনশীল প্রশ্ন আপনাকে আনসার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার সময় যদি হয় 2 ঘণ্টা 30 মিনিট । তাহলে আপনি মোট 150 মিনিট সময় পাচ্ছেন। এখন এই 150 মিনিট সময় হতে আপনি 5 মিনিট প্রশ্ন গুলো দেখার জন্য ব্যয় করবেন। আর দশ মিনিট আপনি রিভিশন দেওয়ার জন্য রাখবেন। তাহলে বাকি থাকল আর 135 মিনিট। 135 মিনিট দাঁড়া ভাগ করে ফেলুন । তাহলে দেখা যাচ্ছে কি আপনি গড়ে প্রতিটি সৃজনশীল লেখার জন্য 19 মিনিট 30 সেকেন্ডের মত সময় পাবেন। অর্থাৎ আপনি আনুমানিক একটা প্রশ্নের জন্য হাজার 900 মিনিট 30 সেকেন্ড ব্যয় করতে পারবেন। আপনি সেভাবে প্রিপারেশন নিয়ে যাবেন যে আপনাকে হাজার 19 মিনিট 30 সেকেন্ডের মধ্যে একটা প্রশ্ন শেষ করতে হবে । তাহলে পরীক্ষার হলে গিয়ে আপনার সময় নিয়ে এতটা চিন্তা করতে হবে না। হবে না সেটা না তবে কিছুটা হলেও সময় চিন্তা কমবে। হয়তো আপনার প্রশ্নের চলে যেতে পারে। আপনি চেষ্টা করবেন যেন আরো কম সময় লাগে আরো যে ঘাটতে সময় আছে সেটা যেন পোষানো যায় সেটা নিয়ে চেষ্টা করবেন।
- আরো পড়ুন : কনটেন্ট রাইটিং এর ভবিষ্যৎ কি?
- আরো পড়ুন : ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব এবং কেন গুরুত্বর্পূণ? ইংরেজী কেন শিখবেন কিভাবে শিখবেন?
-
সবগুলো প্রশ্ন পড়ে নেওয়া ।
প্রথমে প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর লিখে শুরু করবেন না। আগে সবগুলো প্রশ্ন ভালো করে দেখে নিন। কোন প্রশ্নটা আপনার কমন আসছে সে বিষয়গুলো আগে ভালো করে লক্ষ্য করুন। কমন প্রশ্নগুলো এবং আপনি যে প্রশ্নগুলো লিখতে পারবেন সেগুলো মিলে আপনার টোটাল মার্ক মিলে কিনা সেটা লক্ষ্য করুন। যখন আপনি মিলাতে পারবেন যে আপনার যত মার্কের পরীক্ষা তো তোমার আপনি আনসার করতে পারবেন তখন আপনি লেখার শুরু করে দিন।
-
যে প্রশ্নের উত্তর জানো সেগুলো আগে লিখুন
পরীক্ষায় যেসব প্রশ্ন কমন আসবে এমন কোন কথা নেই। পড়েছে কিছু প্রশ্ন কমন আস্তে বাবার কিছু প্রশ্ন আনকমন বা সব সম্পূর্ণ উত্তর আপনি নাও জানতে পারেন এরকম প্রশ্ন আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি ভুলেও যে স্বপ্নগুলো সম্পূর্ণরূপে উত্তর দিতে পারবেন না সেগুলো প্রথমে লিখবেন না। কারণ এতে করে যারা কাগজ কাটবে তাদের মধ্যে একটা নেগেটিভ ধারণা তৈরী হতে পারে যে আপনি ভাল লিখতে পারেন না । তখন আপনি পরবর্তীতে বাসের প্রশ্নগুলো ভালো লিখলেও তারা আপনাকে এরকম ভালো নাম্বার দিবে না। কথায় আছে ” ফাস্ট ইম্প্রেশন ইজ দ্য মোস্ট ইম্পর্টেন্ট”। তাই প্রথমে আপনি যে প্রশ্নগুলো পারেন বা ভালো উত্তর দিতে পারবেন সে প্রশ্নগুলোই আগে লিখবেন। এতে করে আপনি নিজের ভিতরে কি আত্মবিশ্বাস ফিরে করবেন যে না আমি এত আশা করতে পারছি আমার হাতে এতো সময় আছে আমি বাকি প্রশ্নগুলো দিতে পারব অর্থাৎ নিজের ভিতর এক প্রকার প্রশান্তি কাজ করবে সেটা আপনি যখন লিখবেন তখন সেটা বুঝতে পারবেন। তাই আগে কমন প্রশ্ন বা যে প্রশ্নগুলো পারেন সে প্রশ্ন গুলো লিখে ফেলবেন তারপর যে প্রশ্নগুলো একটু কম কম কম জানা সেই প্রশ্নগুলোর লেখার ট্রাই করবেন।
-
বিচলিত হবেন না :
অনেকে দেখা যায় হাতে প্রশ্ন পাওয়ার পর প্রশ্ন কিছু প্রশ্ন কমন আসছে বা কিছু প্রশ্ন সে পারে না তখন সে বিচলিত হয়ে যায়। কিন্তু পরীক্ষার হলে বিচলিত হবার মোটেই ঠিক নয়। আপনাকে প্রশ্ন ভালো করে পড়তে হবে এবং যে প্রশ্নগুলো ভালো পারেন সে প্রশ্নগুলো আগে লিখে ফেলতে হবে। এতে করে আপনার বিচলিত ভাবটা কিছুটা হলেও কমবে। এরপর যে প্রশ্নগুলো আনকমন সেগুলো চেষ্টা করুন।
-
বিভিন্ন ধরনের কালিতে না লেখা :
অনেকের দেখা যায় যে লেখা সৌন্দর্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের কালি ব্যবহার করেন। এতে করে লেখার সৌন্দর্য ফুটে ওঠে ঠিকই কিন্তু অনেক সময় ব্যয় হয়। পরীক্ষার হলে কিন্তু এক মিনিটের মূল্য অনেক। আপনি যদি সেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার করে 5 থেকে 10 মিনিট সময় অযথা নষ্ট করেন এতে করে আপনি রূপান্তর করতে পারবেন না। পাঁচ দশ মিনিটে পরীক্ষা হলে কিন্তু একটি বা দুটি ছোট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব। তাই প্রশ্ন পড়ে যদি মনে করেন আপনি বিভিন্ন কালি ব্যবহার করে লেখার সৌন্দর্য ফুটে উঠে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর পরীক্ষা শেষ করতে পারবেন তবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন । আর যদি প্রশ্ন করে মনে হয় না আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম তখন বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার না করাই উত্তম।
-
লেখা সাইজ বেশি বড় না করা :
লেখার সময় লিখে সাইজ বেশি বড় করা যাবে না। এতে করে লিখে সুন্দর চেয়ে বরং অসৌন্দর্যের টাই বেশি প্রকাশ পায়। তাই লিখা সাইজটা মিডিয়াম রাখবেন। এবং ট্রাই করবেন প্রতি পৃষ্ঠায় 14 থেকে 18 লাইনের লিখতে। এতে করে লেখার সৌন্দর্য ফুটে ওঠে ।
-
সঠিক নিয়মে মার্জিন করুন
খাতার সৌন্দর্য ফুটে ওঠার জন্য মার্জিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়মে মার্জিন করবেন। আমরা সাধারণত দুই পাশে মার্জিন করে থাকি। তবে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে চারপাশে মার্জিন করা। প্রথমেরটা সাধারণ নিয়মে যে দুইপাশে তে মার্জিন দিয়ে থাকি সেগুলো এবং লিখে শেষের মাথার ডান পাশের অংশে করব যেন আমরা নিজেরা বুঝি অর্থাৎ একটা লিমিটেশন দিয়ে দেওয়া যেন বাইরে না যায়। এবং নিচের অংশ একই কাজ করব। যেন লেখা একটি নির্দিষ্ট এরিয়ার ভিতরে থাকে এর বাইরে যেন না যায়। এতে করে লেখার সৌন্দর্যের পাশাপাশি খাতা সৌন্দর্যটাও ফুটে উঠে।
-
ব্যাকরণগত বিষয়ে লক্ষ্য রাখা :
লিখে রেখেছে এই বিষয়টা কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা লেখায় ব্যাকরণগত ভুল থাকলে লেখার সম্পূর্ণ মনোভাব প্রকাশ পায় না। তা সম্পূর্ণরূপে ভালোভাবে লিখতে হলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাকরণগত বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে।
-
প্যারা করে লিখা :
প্যারা করে লিখে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্রিকস। এতে করে লেখাটা অনেকাংশে বেড়ে যায়। লেখায় যদি আপনি একসাথে সবগুলো লিখেন তখন লেখাটা সম্পূর্ণরূপে বুঝা যায় না। এতে করে শিক্ষকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তাই লেখা যখন লিখবেন তখন প্রত্যেকটা অংশ সহজেই বুঝা যাবে।
আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, পাঠক। আশাকরছি পরীক্ষায় ভালো করতে আপনাদের এই টিপস-এন্ড-ট্রিকস গুলো কাজে দিবে। এছাড়াও আপনাদের কোন জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই আমাদের করতে পারেন আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাদের জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে। আমাদের সাথেই থাকুন।